Topics

Quizzes

ফাইন্যান্স এর কঠিন বিষয় গুলি বুঝে নেই

Student Finance

click click click click click





The Power of Compounding! - Infographics



The Power of Compounding!

তোমরা কী জানো পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্যটা কী? অনেকেই হয়ত বলবে, ভাইয়া ৭ টা তো জানি। ৮ নাম্বারটা আপনি কোথায় পেলেন। ওয়েল, আমি পাই নি। আমার আগে একজন বিজ্ঞানী কথাটা বলে গিয়েছেন, আর সেটা হলো দ্যা পাওয়ার অফ কম্পাউন্ডিং। . চক্রবৃদ্ধির কথা আমরা শুনেছি অনেক কিন্তু এর শক্তি সম্পর্কে আসলে কখনো হয়তো উপলব্ধি করতে পারি নি। একটা বিখ্যাত গল্পও রয়েছে এ নিয়ে। কিংবদন্তী রয়েছে যে, দাবা খেলার আবিষ্কারক যখন প্রথম যখন রাজ্যের রাজাকে খেলাটা দেখান, তখন রাজা তাকে খুশি হয়ে পুরস্কার দিতে চেয়েছিলেন। তখন দাবা খেলার আবিষ্কারক নাকি বলেছিলেন, “জাহাপনা, আমার বেশি কিছু চাই না। আমাকে শুধু দাবার ছকবোর্ডের ৬৪ ঘরের প্রতিটির জন্য আগের ঘরে দ্বিগুণ পরিমাণ করে চালের দানা দিলেই চলবে। অর্থাৎ, দাবার প্রথম ঘরের জন্য একটি চালের দানা, পরেরটির জন্য ২ টি, তার পরেরটির জন্য ৪ টি, এভাবে দ্বিগুণ হারে বাড়তে থাকবে” তোমাদের অনেকেই হয়তো ঐ রাজার মতোই ভাবছো যে, এ এবার কেমন পুরস্কার চাওয়া হলো। কত টুকুই বা চাল পাবে এভাবে। রাজাও এটা ভেবে অবাক হয়ে রাজি হয়েছিলেন। । কিন্তু হিসেব করে দেখা যায়, প্রথম ১ টা চালের দানা, তারপর ২ টা, তারপর ৪ টা, ৮ টা, ১৬ টা এভাবে করে ২০ তম ঘরে এসে সেটা ৫,২৪,২২৮ টা চালের দানা হয়ে যায়। ৬৪ তম ঘরে গিয়ে সংখ্যাটা এত বেশি হয়ে যায় যে, 18,446,744,073,709,551,616 - (18 milion trillion grace rice) রাজার রাজ্যে সারা বছরে তো অবশ্যই না, পুরো শতাব্দীতেও এত চাল হয় নি। খুবি ইন্টেরেস্টিং না বিষয়টা? একইভাবে ধরো ২ জনের উদাহরণ দিচ্ছি, প্রতিদিন একজন ১ টাকার থেকে ১% করে অর্থাৎ 1.01 করে বাড়ছে। তাহলে ৩৬৫ দিনে তার বেড়ে হচ্ছে 1.01^365 = 37.8 আবার একজনের একইভাবে ১ টাকা থেকে প্রতিদিন 1% করে কমে। তাহলে ৩৬৫ দিনে তার কমছে হচ্ছে 0.99^365 = 0.03. এখন যদি ডিফারেন্স চিন্তা করো, তাহলে দেখেবে 37.8 - 0.03 =37.05% .যেটা কিন্তু একটা হিউজ নাম্বার। শুধু পাওয়ার অব কম্পাউন্ডিং-য়ের প্রভাবে কত বিশাল একটা পার্থক্য হয়ে গেলো। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে, এভাবে পাওয়ার অব কম্পাউন্ডিং প্রভাব ফেলে। বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন তো পাওয়ার অব কম্পাউন্ডিংকে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য এমনি এমনি বলেন নি। ২ জন বন্ধুর কথা চিন্তা করি চলো, একজনের নাম আজনান আর আরেকজনের নাম সাইফ। যারা একই স্কুলে পড়েছে, ২ জনই বেশ ভালো চাকরি করেছে এবং শেষে রিটায়ারমেন্টেও গিয়েছে। এর মধ্যে আজনান চাকরির পর থেকে রিটায়ারমেন্টে যাওয়ার সময় যখন ঘনিয়ে আসলো, তখন তার খেয়াল হলো ইনভেস্টের কথা। সে তখন ইনভেস্ট করা শুরু করলো। অন্যদিকে সাইফ কিন্তু অনেক আগে থেকেই ইনভেস্ট শুরু করেছিলো। সে চাকরিতে যাবার আগে মিচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট থেকে শুরু করে কীভাবে অ্যাসেটস - এর পরিমাণ বাড়ানো যায়, সেই চিন্তা করতো। ফলাফল হিসেবে, ২ জন ই যে সময়ে রিটায়ারমেন্টে গেলো, তখন সাইফ বেশী লাভবান হয়েছিলো। কেন বলতে পারবে? কারণ সাইফ, আজনানের থেকে অনেক বেশী সময় ধরে ইনভেস্ট করেছিলো। কম্পাউন্ড ইন্টেরেস্টের সুফল দাবা খেলার ঘরের মতোন সাইফ পেয়েছিলো বলেই, এখানে সাইফ তার সেই আগে থেকে ইনভেস্ট করা টাকার চক্রবৃদ্ধিতে অনেক বেশী টাকা পেয়েছিলো। এখন ভেবে দেখ, তুমি কি সাইফের মতো হতে চাও, যে কম্পাউন্ড ইন্টেরেস্টকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়েছিলো, নাকি আজনানের মতো হতে চাও। যে কম্পাউন্ড ইন্টেরেস্টের শক্তি কাজে লাগায় নি বলে দিন শেষে সাইফের তুলনায় কম লাভবান হয়েছিলো। এই যে এত এত উদাহরণ, অঙ্ক করে বুঝালাম কম্পাউন্ড ইন্টেরেস্টের শক্তি। এই শক্তি তখনই কাজে লাগবে যখন তুমি একে তোমার জীবনে কাজে লাগাবে, সেটা ইনভেস্টের ক্ষেত্রে তো বটেই। জীবনের চলার পথে সবসময় এই কম্পাউন্ড ইন্টেরেস্ট তোমার সাথে সাথে থাকবে। শুভকামনা রইলো তোমার জন্য।