Topics

Quizzes

ফাইন্যান্স এর কঠিন বিষয় গুলি বুঝে নেই

Personal Finance

click click click click click click click click





কীভাবে নিজের জন্যে একটি বাজেট তৈরি করবেন? - Infographics



কীভাবে নিজের জন্যে একটি বাজেট তৈরি করবেন?

আমরা সকলেই চাই আমাদের অনেক কষ্টে উপার্জিত অর্থ যেন যথাযথভাবে ব্যয় করতে পারি। এ ব্যাপারে Peter Drucker বেশ চমৎকার একটি কথা বলেছিলেন। "What gets measured, gets managed." অর্থাৎ আমাদের কষ্টে উপার্জিত অর্থ যদি আমরা সঠিকভাবে পরিমাপ করে যথাযথভাবে ম্যানেজ করতে চাই সেক্ষেত্রে আদর্শ উপায় হবে নিজের জন্যে একটি বাজেট তৈরি করে সেটা মেনে চলা। এই ব্যক্তিগত বাজেট তৈরি করার সময় কিছু বিষয়ে নজর রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্যক্তিগত বাজেট তৈরির চারটি কার্যকরী ধাপ - ১) নিজের আয়ের উৎস ও ব্যয়ের খাতগুলো চিহ্নিত করুন। নিজের আয়ের উৎসগুলো ও ব্যয়ের খাতগুলো উল্লেখ করে তালিকা তৈরি করুন। পাশে আয় ও ব্যয়ের পরিমাণও লিখে রাখুন যাতে আয়-ব্যয় নিয়ে পুরোপুরি ধারণা পাওয়া যায়। এরপর দেখুন আয় আর ব্যয়ের পার্থক্য কেমন। আয় যদি ব্যয়ের চেয়ে বেশি হয় তাহলে সব ঠিকঠাকই আছে বলে ধরে নেওয়া যায়। ২) খুঁজে বের করুন নির্দিষ্ট আয়ের উৎস ও ব্যয়ের খাত - কিছু খরচ কিন্তু প্রতিমাসে হয় না। যে প্রতিমাসে কেউ ট্যুরে যায় না। প্রতিমাসে ইমার্জেন্সি চিকিৎসাখাতেও ব্যয় হয় না। এই খরচগুলোর মতো কিছু আয়ও প্রতিমাসে হয় না। যেমন - ঈদ বা পূজার বোনাস, সালামি, বৃত্তির টাকা ইত্যাদি। এই উৎস বা খাতগুলোকে আলাদা রেখে বাকি নির্দিষ্ট আয়ের উৎস আর ব্যয়ের খাতগুলোতে ফোকাস করা উচিত। দুটো ব্যাপারকে আলাদা করে রাখবার পরও যদি আয় বেশি ব্যয় কম হয় তাহলে আপনার অর্থনৈতিক অবস্থান বেশ ভালো। ৩) ৮০/২০ অর্থাৎ প্যারেটো প্রিন্সিপাল অনুসরণ করুন - আয় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে প্যারেটো প্রিন্সিপাল মেনে চলুন। যে উৎস থেকে আয় বেশি সেখানে জোর দিন। খেয়াল রাখুন যাতে কোনোভাবেই এই আয়টা মিস না হয়৷ অন্যদিকে ব্যয়ের ক্ষেত্রে যে খাতে অনেক বেশি ব্যয় হয় সেখাতে খরচ একটু কমানোর চেষ্টা করা উচিত। ধরা যাক, কেউ টিউশনি করে মাসে ৩ হাজার এবং ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ১০ হাজার টাকা উপার্জন করেন। এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিংটাই তার প্রধান আয়ের উৎস হওয়া উচিত। খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনো মাসেই এই আয়টা মিস না হয়। অন্যদিকে ধরা যাক কারও খাবার খরচ বেশি। সেক্ষেত্রে অন্য দিকে কিপ্টামি না করে চেষ্টা করা উচিত দু-একবেলা অন্তত খাওয়ার পেছনে একটু কম খরচ করা। অর্থাৎ প্রথমেই যখন আমরা আমাদের আয়-ব্যয়ের তালিকা করছি তখনই সেখানে ধরা পড়া বড় অঙ্কের উৎসগুলোর দিকে আমরা নজর দেবো। ৪) তৈরি করুন নিজের ব্যক্তিগত বাজেট - নিজের আয় অনুযায়ী ব্যয়ের ধরণটা কেমন হওয়া উচিত সেটার একটা নকশা তৈরি করে ফেলুন। হতে পারে সেটা খাতায় কলমে কিংবা কোনো অ্যাপ ব্যবহার করে। বেশ কিছু চমৎকার মানি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ আছে। Wallet, Keep, Mint, Accorns, Wally, PocketGuard ইত্যাদির কোনো একটা ব্যবহার করতে পারেন খুব সহজেই। অথবা চাইলে মাইক্রোসফট এক্সেল বা গুগল শিটসও ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার আয় ও ব্যয় বেশ ভালোমতো ট্র্যাক রাখতে পারবেন। পুরো বিষয়টার সারাংশ করলে, প্রথমেই নিজের আয়ের উৎস ও ব্যয়ের খাত চিহ্নিত করুন, নির্দিষ্ট আয়ের উৎস ও ব্যয়ের খাত কোনটি খুঁজে বের করুন, বড় অঙ্কের আয় ও ব্যয়ের দিকে নজর দিয়ে আয় বৃদ্ধি এবং ব্যয় হ্রাসের চেষ্টা করুন, নিজের জন্যে একটি বাজেট তৈরি করুন। হতে পারে খাতায় কলমে, হতে পারে অ্যাপে কিংবা মাইক্রোসফট এক্সেল বা গুগল শিটসে। এবার চট করে তৈরি করুন নিজের পার্সোনাল বাজেট।