Topics

Quizzes

ফাইন্যান্স এর কঠিন বিষয় গুলি বুঝে নেই

Student Finance

click click click click click





How to Use Banking as a Student - Infographics



ছাত্রাবস্থায় ব্যাংকিং এবং সঞ্চয়

স্টুডেন্ট অবস্থায় কেও আবার ব্যাংকিং করে নাকি। এখন কী দরকার। এটা তো বড়দের কাজ। এতো ঝামেলা এখন না নেই। আর এত কম টাকায় ব্যাংকিং করা যায় নাকি। ছাত্র অবস্থা থেকে সঞ্চয় করার একটা উদাহরণ দেই। ধরো, তুমি প্রতিদিন টিফিনের জন্য ২০ টাকা পাও । তাহলে প্রতিদিন ৫ টাকা সেভ করলে মাসে ২৫ দিন ক্লাসে ১২৫ টাকা সেভ হয়। ১২ মাসে ১,৫০০ টাকা। এর সাথে দুই ঈদের সালামি যোগ করে দাও না। এটা দিয়েই শুরু করে দেয়া যায় কিন্তু। এই সঞ্চয় করার অভ্যাসটা কিন্তু খুব বেশী দরকার। যত দ্রুত সঞ্চয়ের অভ্যাস শুরু করা যায়, ততই ভালো। এইজন্য student banking গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তোমার যদি একটা ব্যাংক একাউন্ট থাকে, তাহলে তোমার টাকা সেভ করার ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে যায় এবং টাকাও হারিয়ে যাবার ভয় থাকে না। এখন অনেক ব্যাংকেই কিন্তু Student banking এর সুবিধা দিচ্ছে। এসব ব্যাংকে কিন্তু স্বল্প জামানতেই তোমরা চাইলে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারো। অনেক ব্যাংক 100 টাকা জমা দিয়েই ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা দিচ্ছে। 18 বছর বয়সের আগে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হলে কিন্তু যৌথভাবে একাউন্ট খুলতে হয়। অর্থাৎ তোমার বাবা-মা কিংবা অভিভাবকের national id card বা পাসপোর্টের ফটোকপি, ছবির দরকার হবে। কিছু ব্যাংকের ক্ষেত্রে তোমার বার্থ সার্টিফিকেটেরও কিন্তু দরকার পড়বে। 18 বছর পার হয়ে গেলে তোমার যৌথ ব্যাংক একাউন্টটি, তোমার নামে একক ব্যাংক একাউন্ট হয়ে যাবে। যখনই সম্ভব হবে, তখনই তোমার ব্যাংক একাউন্টে টাকা রাখবে। সেটা তোমার ঈদের সালামি থেকেও হতে পারে কিংবা তোমার টিফিনের বাড়তি টাকা থেকেও হতে পারে। পরে বছর শেষে দেখবে তোমার ব্যাংক একাউন্টে অনেকগুলো টাকা জমা হয়ে গেছে। আর ব্যাংক একাউন্ট খুললে, student অবস্থাতেই, বাড়তি হিসেবে পেয়ে যাবে ডেবিট কার্ড বা ব্যাংক চেক ব্যবহার করার সুবিধা। ডেবিট কার্ডে প্রথমে টাকা জমা করতে হয়। তোমার এ্যাকাউন্টে বা কার্ডে যত টাকা থাকবে তার বেশি ব্যবহার বা খরচ করতে পারবে না বা তুলতে পারবে না। আর ব্যাপারটা শুনে যদি জটিল মনে হয়, তাহলে আরো সহজ করে বলছি, আমরা যে প্রি পেইড সিম ব্যবহার করি, এটার ব্যবহার প্রি- পেইড সিমের মতোন। যত টাকা থাকবে তত টাকাই খরচ করতে পারবে বা এটিএম থেকে তুলতে পারবে। আরেকধরনের কার্ড রয়েছে, যেটাকে বলে ক্রেডিট কার্ড। এখন তাহলে ডেবিট আর ক্রেডিট কার্ডের পার্থক্য টা জেনে ফেলি চলো, তোমাদের জন্য একদম সহজভাবে বলছি, ডেবিট কার্ড ব্যবহার করলে তুমি যে টাকা খরচ করবে, তা নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে যাবে আর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে সেটি তুমি ঋণ হিসেবে পাবে ফলে পরবর্তীতে তোমাকে ঋণটা শোধ করতে হবে । ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা হলো কারো কাছ থেকে টাকা ধার চাওয়া লাগবেনা, ওটা থেকেই ধার নিতে পারবে। এর ফলে আপনাকে ধারের মুনাফা ব্যাংককে প্রদান করতে হবে । ATM এর কথা যখন বললাম, তাহলে এর ফুলফর্ম টাও জেনে রাখি চলো। Automated Teller Machine, এটাই হচ্ছে ATM এর ফুল ফর্ম। নেস্কট টাইম তোমার কোন বন্ধুকে এই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, ডেবিট কার্ডের ব্যবহার, প্রয়োজনীয়তা যখন শেখাবে আর উৎসাহ দেবে, তখন এই ATM এর ফুল ফর্মটাও জানিয়ে দিও। এসবের ফলে Student life থেকেই তুমি যেমন তোমার ফাইনান্স নলেজ অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, তেমনি শিখে ফেলবে ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করার অনেক নিয়ম কানুন, যা তোমাকে ভবিষ্যৎ জীবনে অন্যদের থেকে অনেক এগিয়ে রাখবে তা বলাই বাহুল্য।