যোগ বিয়োগ কিন্তু সবাই বুঝি। যখনি আয় ব্যয়ের বিষয়টা আসে, তখনি, বিষয়টা বেশ কঠিন মনে হয়, তাই না? কিন্তু এটা আসলে সেই যোগ আর বিয়োগ, যেটা আজীবন আমাদের জীবনের অংশ হয়ে থাকবে। তাহলে প্রশ্ন চলে আসে, কতটুকু আয় বা কতটুকু ব্যয় করা উচিত। কীভাবেই বা এর হিসেব করবো। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের ভারসাম্য করতে গিয়ে সঞ্চয়টা আবার কীভাবে করবো? আয় ব্যয়ের সঙ্গে একটা শব্দ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে, যেটাকে বলে বাজেট। এই বাজেট বলতে কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের ব্যয় ও রাজস্বসমূহের হিসেবকে বোঝানো হচ্ছে না। এই বাজেট বলতে তোমার ব্যক্তিগত আয় - ব্যয়ের পরিকল্পনাকে বোঝানো হচ্ছে। এই বাজেট পরিকল্পনা এক মাসের হতে পারে আবার এক সপ্তাহেরও হতে পারে। হতে পারে প্রতিদিনেরও। আয় ব্যয়ের ভারসাম্য রাখতে হলে, একটা বাজেট পরিকল্পনা যদি থাকে, তাহলে পুরো ব্যাপারটা আরো অনেক সহজ হয়ে যায়। অর্থাৎ প্ল্যানিং করা, এই মাসে কোনটার জন্য কত খরচ করবে, কোন ড্রেসের জন্য কত টাকা দেবে, বই কেনার জন্য কত টাকা, আবার বন্ধুদের সাথে রেস্টুরেন্টের জন্য কিছু খরচ আছে। এগুলোর সাথে আয়ের হিসেবটা করে দেখতে হবে যে বাজেটে আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হয়ে যাচ্ছে কিনা। যদি সেটা হয়, তাহলে খরচ কিছু সেক্টর থেকে কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে। কোনো জায়গায় খরচের ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যে, সেটা একটা বিনিয়োগ হচ্ছে নাকি শুধু খরচ করা হচ্ছে। যেমন- একটা ভালো ক্যামেরা কেনা একটা ভালো উদ্যোগ, কারণ ক্যামেরাটা দিয়ে ফটোগ্রাফি পরে আরো টাকা আয় করা যাবে। অপরদিকে বন্ধুকে টাকা ধার দেয়া কিন্তু বিনিয়োগের মধ্যে পড়ছে না। কারণ পরবর্তীতে সেখান থেকে আয়ের কোনো সুযোগ নেই। পরবর্তীতে ব্যয় করার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে ব্যয় করতে হবে। তাহলে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের ভারসাম্য যেমন রাখা হবে। তেমনি সঠিক জায়গায় বিনিয়োগের অভ্যাসটাও তৈরী হবে। আয়ের উৎস খোঁজো। উপার্জন শুরু করো। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে। নতুন স্কিল যেমন ডেভেলপ হবে। আবার একইসাথে আয়ের কয়েকটা উৎস একসাথে ম্যানেজ করার দক্ষতাটাও তৈরী হয়ে যাবে। ছাত্রাবস্থা থেকেই যেগুলো তোমাকে জীবনে অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে, তা তো বলাই বাহুল্য।