Topics

Quizzes

ফাইন্যান্স এর কঠিন বিষয় গুলি বুঝে নেই

Personal Finance

click click click click click click click click





সময়ের মূল্য, শিষ্টাচার, অধ্যবসায়, নৈতিকতা, শৃঙ্খলার মতো অনেক অনেক গুনাবলীর শিক্ষা আমরা আমাদের স্কুল - কলেজে পড়ার সময় পেয়ে থাকি। কিন্তু তখন আমাদের একটা বিষয়ে কখনও আমাদের ধারণা দেওয়া হয় না। এমনকি কখনও কখনও বড়দের ব্যাপার বলে এই বিষয়টি নিয়ে কখনও আমাদের সামনে কথা পর্যন্ত বলা হয় না। ঠিকই ধরেছ। বলছি টাকা - পয়সা কীভাবে সঠিকভাবে ম্যানেজ করতে হয় সেটা নিয়ে। অথচ এমন একটা লাইফ স্কিল সঠিক সময়ে না শেখার কারণে আমরা অনেকেই টাকা পয়সা সংক্রান্ত অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। চলো জেনে নেওয়া যাক পার্সোনাল ফাইনান্স এর ৫ ভিত্তি নিয়ে! ১) অর্থ উপার্জন ২) অর্থ সঞ্চয় ৩) অর্থ বিনিয়োগ ৪) অর্থ ব্যয় ৫) অর্থ রক্ষা এবার আসা যাক বিস্তারিত নিয়ে! ১) অর্থ উপার্জন - অর্থের ব্যবস্থাপনা না হয় করবে তা অর্থটা আসবে কোথা থেকে? উপার্জন করতে হবে তো? উপার্জনের শুরুটা হোক ছোটবেলা অর্থাৎ ছাত্রাবস্থায়ই। প্রশ্ন আসতেই পারে কীভাবে? টিউশনি করতে পারো, ফ্রিল্যান্সিং করতে পারো, ব্লগে লিখতে পারো, ছোটখাটো ব্যবসা করতে পারো, আউটসোর্সিং করতে পারো। অনেক অনেক অপশন আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর বাবা-মায়ের কাছ থেকে টাকা নেওয়া বন্ধ করে দাও। স্বনির্ভর হও। ২) অর্থ সঞ্চয় - আমাদের সবারই একটা বাজে অভ্যাস আছে। আমরা অনেকেই টাকা পয়সা হাতে পাওয়ার পর আগে ইচ্ছামতো খরচ করি। খরচ শেষে যদি কিছু বাঁচে তখন সেটা জমাই। কিন্তু এই ব্যাপারটা একদম উল্টো হওয়া উচিত। এটা আগে থেকেই নির্ধারিত থাকা উচিত যে উপার্জনের টাকাটা হাতে আসার পর এর কত শতাংশ সঞ্চয় করা হবে এবং সঞ্চয় করার পর বাকি টাকা খরচ করা হবে। ৩) অর্থ বিনিয়োগ - টাকা উপার্জন হলো, সঞ্চয়ও হলো। কিন্তু দিনশেষে লাভটা কী হলো? টাকা যদি বাসায় আলমারিতে কিংবা মোটা সিন্দুকে জমা করে রাখো, অথবা মাটির ব্যাংকে বা বালিশের তলায় রেখে দাও তাহলে কি সেই টাকা বাড়বে? উল্টো মুদ্রাস্ফীতির নেতিবাচক প্রভাবে টাকার মূল্য অনেকটাই কমে যাবে। এ থেকে বাঁচবার উপায় তবে কী? বিনিয়োগ করো। তোমার জমানো টাকাগুলো কোথাও বিনিয়োগ করো। এতে টাকার মূল্য আর কমবে না। ৪) অর্থ ব্যয় - আয়ের থেকে ব্যয় যাতে কখনও বেশি না হয়। এই ব্যাপারটায় লক্ষ্য রাখা জরুরি। আগে সঞ্চয় করতে হবে আর তারপরে ব্যয়। পার্সোনাল বাজেট তৈরি করো এবং সেটা মেনে চলো। ব্যবহার করো মানি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ। ট্র্যাক করো কোথায় কোথায় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ব্যয় করা হচ্ছে। দেখবে উল্টোপাল্টা খরচের পরিমাণও অনেক কমে গেছে। ৫) অর্থ রক্ষা - তোমার টাকাগুলো যদি তুমি বাসায় বালিশের তলায় রাখো তাহলে সেগুলো তো বাড়বেই না উল্টো মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবে এর মূল্যমান কমে যাবে। তারচেয়ে বরং কিছু টাকা ব্যাংকে জমা করো, কিছু টাকা বিনিয়োগ করো, কিছু টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করো। দেখো কোন খাতে মুনাফা বেশি হচ্ছে। এরপর সেই অনুযায়ী ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নাও। এই ছিলো পার্সোনাল ফাইন্যান্স এর ৫ ভিত্তি। এখন থেকে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি সঞ্চয় হোক সুনির্দিষ্ট, বিনিয়োগ হোগ ভেবেচিন্তে আর অর্থের সুরক্ষা হোক যথাযথ। - Infographics



Common Investment Mistakes

পার্সোনাল ফাইন্যান্সের ভিত্তিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কঠিনটি হলো ইনভেস্টমেন্ট। সবাই ইনভেস্টমেন্টের কথা বলে, ইনভেস্টমেন্ট করতে বলে। কিন্তু, ইনভেস্টমেন্ট করবো কোথায়? ইনভেস্টমেন্ট কীভাবে করতে হয়? ইনভেস্টমেন্ট করার সময় সবচেয়ে কমন ভুলগুলো কী- এগুলোর ব্যাপারে কখনও জানা হয় না। তাই এই ভিডিওগুলো হলো যে সাধারণ ভুলগুলো আমরা করে থাকি ইনভেস্টমেন্টের সময়। আজকে আমরা জানবো ফাইন্যান্সিং এর যে কমন ভুলগুলো আছে এগুলো কী এবং কীভাবে আমরা এগুলো থেকে নিজেদের সেফ রাখতে পারি। (১) আমরা প্রায়ই আমাদের নামে করা এক উক্তিকে প্রমাণ করি- হুজুগে বাঙ্গালি। আমরা যখনই কিছু একটা শুনে সাথে সাথেই- আরেহ! এই স্টকে ইনভেস্ট কর, এই জায়গায় ইনভেস্ট কর, এই জমিটা কিন এবং ধুপধাপ আমরা টাকা পয়সা ঢেলে দেই। তো এইযে হঠাৎ করে একটা রিউমর বা একটা গুজব আসলো এবং এই গুজবে কান দিয়ে আমরা আমাদের জীবনের যাবতীয় সঞ্চয় একটা জায়গায় ইনভেস্ট করে দিচ্ছি- তখনই আমরা বড় ধরনের একটা বিপদে পড়ি। কারণ এই গুজবের কারণে সবাই এক জায়গায় আসে এবং এসে মার্কেটটিকে নষ্ট করে দেয় এবং ঐখানকার ফলশ্রুতিতে আমরা আমাদের লাইফের সকল সঞ্চয় হারিয়ে বাকি মানুষদের বলা শুরু করি যে, “ইনভেস্টমেন্টে ভাই জীবনেও যেও না।” (২) Don’t bet your entire life on investment. তার মানে হলো তোমার লাইফের যাবতীয় সব একটা ইনভেস্টেমেন্টেই দিয়ে দিলে এবং কোন কারণে ইনভেস্টমেন্ট থেকে টাকা পেলে না- সাধারণ লাইফই তো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবে। তো কখনও এরকম ইনভেস্টমেন্টে যেও না। এখন ইনভেস্টমেন্টের সাথে সাথে একটা কমন টার্ম চলে আসবে যে রিস্ক! ব্যাপারটা একটু বুঝি। আমরা যখন ব্যাংকে টাকা রাখি, ব্যাংক থেকেও তো আমরা মুনাফা পাই। আমরা যখন কোনো একটা জায়গায় ইনভেস্ট করি, এখান থেকেও আমরা মুনাফা পাই। তাহলে, ব্যাংক আর ইনভেস্টমেন্ট- এদের পার্থক্যটা আসলে কী? ব্যাংকে যখন টাকা রাখছো, একটা নির্দিষ্ট মুনাফা রেটে পাচ্ছো। তার মানে এইটা যাই হোক না কেন রেটে পরিবর্তন আসবে না। তাই রিস্ক কম, মুনাফাটাও নির্দিষ্ট। কিন্তু, ইনভেস্টেমেন্টে মুনাফা অনেক বেশি হতে পারে। যেহেতু মুনাফা অনেক বেশি হতে পারে তাই এটার রিস্ক ফ্যাক্টরটাও অনেক বেশি। মানে ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট রেটের উপরেও যাবে না, নিচেও যাবে না। ইনভেস্টেমেন্টে অনেক উপরেও যেতে পারে আবার একদম ধুপ করে নিচেও পড়ে যেতে পারে। এবং এটাই হলো ইনভেস্টমেন্টের ডাইনামিক্স। তাই যখন তুমি ইনভেস্টমেন্ট করছো, এটাও মাথায় রেখো যে রিস্ক ফ্যাক্টরের জন্য পুরো টাকাটা হারিয়েও ফেলতে পারো। তাই তুমি যদি তোমার সারাজীবনের টাকা কোথাও ইনভেস্ট করে ফেলো এবং পরে যদি ইনভেস্টমেন্টের টাকাটা উঠে না আসে, তোমার সারা লাইফের চলাচলটাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবে। তাই এইদিকটা মাথায় রেখো। (৩) এবার আসি খুব কমন একটা ইনভেস্টমেন্ট মিস্টেকের পয়েন্টে। এখানে আমি ওয়ারেন বাফেটের দুইটি উক্তির কথা বলতে চাই। উক্তিটি হলো “Never put all your eggs in one basket.” মানে তুমি যদি ডিম বিক্রি করো এবং একটা বাস্কেটেই সব ডিম রাখো। কোনো এক কারণে বাস্কেটটি যদি পড়ে যায় তোমার সব ডিমই কিন্তু ভেঙ্গে যাচ্ছে। তো কী করতে হবে? দুইটা বাস্কেটে রাখো, যাতে একটা যদি কোনো কারণে পড়েও যায় আরেকটা যেন থাকে। এই বিষয়ে ওয়ারেন বাফেটের আরেকটি যে উক্তি আছে তা হলো, “Never test the depth of the water with both feet.” তুমি যখন কোনো একটা জায়গার পানির গভীরতা মাপো, তখন কি তুমি দুই পা দিয়ে ঝাপ দাও? কখনোই না! তুমি একটা পা দিয়ে আস্তে করে দেখো যে গভীরতাটা কতটুকু। ঠিক তেমনইভাবে তুমি যখন ইনভেস্ট করছো তখন এক জায়গায় সব টাকা ঢেলে দিও না। Never put all your eggs in one basket এবং হ্যাঁ, যখন তুমি শিওর না যে কোন ইনভেস্টমেন্টের জায়গাটা ভালো, তোমার সবকিছু দিয়ে- দুই পা দিয়ে এক জায়গায় ঝাপ দিয়ে পড়ো না। টেস্ট করার জন্য অল্প একটা টাকা দাও, দেখো যে কেমন পারফর্ম করছে। আরেক জায়গায় অল্প কিছু টাকা দিয়েও দেখো। দুই জায়গার profitibility বুঝে ঐ জায়গাগুলোতে ইনভেস্ট করো। (৪) এবং সবশেষে, যেকোনো ধরনের ইনভেস্টমেন্ট থেকে টাকা উঠে আসতে কিন্তু বেশ সময় লাগে। ১০ মিনিটে টাকা পেয়ে যাবা এমন যদি চিন্তাভাবনা করো তাহলে কিন্তু তোমার ইনভেস্টমেন্টে যাওয়ার কোনো দরকার নাই। যখন কোনো একটা স্টক তুমি কিনছো, পরের দিনই বিক্রি করে দিবে, এমন চিন্তা করেও স্টক কিনার কোনো দরকার নাই। Be patient. ইনভেস্টমেন্টের লাস্ট যে টিপটির কথা বলা হচ্ছে তা হলো ধৈর্যধারণ করা। হুটহাট ইজি মানি, কুইক মানি কিন্তু ইনভেস্টমেন্টের গেম নয়। ইনভেস্টমেন্টে যখন যাচ্ছো তখন লং টার্ম প্ল্যানিং করে ইনভেস্টমেন্টের দিকে আগাও। তো, আশা করা যায় এই যে ৪ টা ভুলের কথা বলা হলো, পরের বার কোনো ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের ক্ষেত্রে এই ৪ টা ভুল বাদ দিয়ে ইনভেস্টমেন্টের পথে পা বাড়াবে।