Topics

Quizzes

ফাইন্যান্স এর কঠিন বিষয় গুলি বুঝে নেই

Professional Finance

click click click click click





Company Financial Health - Infographics



একটি কোম্পানির ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট দেখেই সবসময় কোম্পানির শক্তি এবং দুর্বলতার জায়গা বোঝা সম্ভব না। যেমন একটি কোম্পানিতে হয়ত আমরা দুই কোটি টাকা ক্যাশ ইন দেখতে পাচ্ছি। এখান থেকেই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয় যে কোম্পানি খুব ভাল অবস্থায় আহে। এমনও হতে পারে, কোম্পানি কোন একটি নির্দিষ্ট সোর্স থেকে ক্যাশ জোগাড় করার পরেও সঠিক ইনভেস্টমেন্টের অভাবে টাকাটা অলস পড়ে আছে। তাই এসব ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ এবং বিস্তারিত ধারণা পেতে বেশ কিছু রেশিও বা অনুপাত সম্পর্কে জানা থাকা জরুরি। Profitability Ratio বেশ কিছু Profitability Ratio-র মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রিটার্ন অন অ্যাসেটস, রিটার্ন অন ইক্যুয়িটি ইত্যাদি। একটি কোম্পানির আয় তার অ্যাসেটের শতকরা যত ভাগ, তাকেই বলা চলে সেই কোম্পানির রিটার্ন অন অ্যাসেটস। একইভাবে কোম্পানির আয় তার মালিকের ইক্যুয়িটির শতকরা যত ভাগ, তাকেই বলা হয় সেই কোম্পানির রিটার্ন অন ইক্যুয়িটি। একইভাবে ঐ কোম্পানির গ্রস প্রফিট মার্জিন, নেট প্রফিট মার্জিন, অপারেটিং প্রফিট মার্জিন ইত্যাদিও হিসাব করা যেতে পারে। এই রেশিও বা অনুপাতগুলো থেকে বোঝা যায় একটা কোম্পানি কতটা দক্ষতার সাথে তার অ্যাসেটকে ব্যবহার করছে, কত দক্ষভাবে তার ইক্যুয়িটি ব্যবহার করে লাভ করছে, কতটা ভালভাবে তার মূলধন থেকে সেলস বা রেভিনিউ তৈরি করছে, অপারেটিং ব্য্যভার বহনের পরেও কোম্পানি কতটা আয় বা লাভ করতে পারছে। অতএব, একটি কোম্পানি তার মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ প্রফিট তৈরিতে কতটা দক্ষ এবং এগোনো সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় সেই কোম্পানির বিভিন্ন Profitability Ratio জানার মাধ্যমে। Efficiency Ratio বিভিন্ন প্রকার Efficiency Ratio-র মধ্যে রয়েছে Asset Turnover data যা বোঝায় একটি কোম্পানি কত দক্ষভাবে তার অ্যাসেটকে সেলস বা রেভিনিউতে রূপান্তর করতে পারছে। এছাড়া রয়েছে Inventory Outstanding Date যা দ্বারা বোঝায় একটি পণ্য কতদিন ধরে গুদামে পড়ে আছে। একটি পণ্য বা ম্যাটেরিয়াল যত দীর্ঘদিন ধরে গুদামে পড়ে থাকে তা কোন না কোন দিকে কোম্পানির অদক্ষতা কিংবা অচলাবস্থাকে প্রকাশ করে। অর্থাৎ Inventory Outstanding Date যত কম হবে, একটি কোম্পানির জন্য তা ততই মঙ্গলজনক। Liquidity Ratio একটি কোম্পানি কত কম সময়ে ক্যাশ বা নগদ অর্থ অন্য কোথাও ট্রান্সফার করতে পারছে সে তথ্য জানা যায় সেই কোম্পানির Liquidity Ratio থেকে। এই অনুপাত যে কোম্পানির জন্য যত বেশি হবে, সেই কোম্পানিকে আর্থিকভাবে তত বেশি সুস্থিত বলা যেতে পারে। Leverage Ratio কোন প্রকার ঋণ বা অর্থ সাহায্য ছাড়া কোন কোম্পানির পক্ষেই তাদের প্রডাকশন চালিয়ে যাওয়া বা শুরু করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে Leverage Ratio থেকে আমরা বুঝতে পারি ঐ কোম্পানির লোন বা ঋণের অবস্থা কেমন। ঋণ- অ্যাসেট অনুপাত, ঋণ- মূলধন অনুপাত কিংবা ঋণ- ইক্যুয়িটি অনুপাত, এইসব অনুপাতের মান যত ভালো হবে, একটি কোম্পানি তত সহজে নিজেদেরকে ঋণের জন্য যোগ্য বলে প্রমাণ করতে পারবে, এবং ঠিক তত সহজেই কোম্পানিটির জন্য নিজেদের প্রোডাকশন শুরু করা ও চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, একটি কোম্পানির ফাইন্যান্সিয়াল অবস্থা কেমন তা বুঝতে হলে শুধু ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্টগুলো জানাই যথেষ্ট নয়, বরং পাশাপাশি হিসেব করা দরকার Profitability Ratio, Efficiency Ratio, Liquidity Ratio এবং Leverage Ratio এর মানও। এই মানগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকলে আমাদের পক্ষেও সম্ভব একটি কোম্পানির আর্থিক দিকগুলো বুঝতে পারা এবং তাদের ফাইন্যান্সিয়াল শক্তিমত্তা বা দুর্বলতার জায়গাগুলো চিহ্নিত করা।