Topics

Quizzes

ফাইন্যান্স এর কঠিন বিষয় গুলি বুঝে নেই

Personal Finance

click click click click click click click click





বাজে খরচকে বলুন বিদায়! - Infographics



বাজে খরচকে বলুন বিদায়!

আমাদের অধিকাংশেরই মাস শেষে মাথায় পড়ে যায়। ধার করার জন্যে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যায়। অথচ মাসের শুরুতে বেতন পাওয়ার পর দেদারসে টাকা খরচ করার সময় এই ব্যাপারটা আমাদের মাথায় একেবারেই থাকে না। একগাদা বাজে খরচ দিয়ে শুরু হয় মাস, আর মাসশেষে ধারের জন্যে দৌড়োদৌড়ি। তো কী করা যায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বাজে খরচকে বিদায় জানানো যায় - i) Identify your disposable income. এটা আবার কী? তাই ভাবছো তো? বলছি। ধরা যাক কারও মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকা এবং সে ৫ হাজার টাকা দিয়ে একটা নতুন শার্ট কেনার কথা ভাবছে। এই ৫ হাজার টাকা তার মাসিক আয়ের ১০% মাত্র। কিন্তু এই ৫ হাজার টাকা তার Monthly Disposable Income এর ৫০%! কীভাবে? ৫০ হাজার থেকে ১০ হাজার বাড়ি ভাড়া, ১০ হাজার খাওয়া, ১০ হাজার বিবিধ এবং ১০ হাজার হলো সঞ্চয়। রইলো বাকি ১০ হাজার। আর এই ১০ হাজারই হলো প্রকৃত আয়। এখান থেকেই বাড়তি খরচগুলো করা হবে। আর এটা মাথায় থাকলেই উল্টোপাল্টা খরচ কম হবে। বুঝলে? ii) নগদ টাকা দূরে রাখো। তোমার নগদ টাকাগুলোকে যতটা পারো দূরে রাখো। নগদ টাকা খরচের প্রবৃত্তি অনেক বেশি। টাকা পয়সা ব্যাংকে রাখো, নয়তো কোথাও বিনিয়োগ করে রাখো যাতে চাওয়ামাত্রই হাতের কাছে না পাও৷ এতে করে খরচের প্রবৃত্তি ও পরিমাণ দুটোই কমবে। iii) ডিসকাউন্ট, ক্যাশ ব্যাক বা স্পেশাল অফারের ফাঁদে পা দিও না - ঈদ, পূজা কিংবা বর্ষবরণের সময় বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্যের ওপর বিশেষ ছাড় কিংবা নানা অফার দেয়। এই অফারে হামলে পড়ে সাধারণ মানুষ। এই ডিসকাউন্ট বা ক্যাশ ব্যাকের অফারগুলো মূলত দু'ভাবে করা হয় দাম কিছুটা বাড়িয়ে ডিসকাউন্ট দেওয়া হয় অথবা পণ্যের গুণগত মান খারাপ থাকে। আর এই ফাঁদে পা দিয়ে আমরা অনেকসময় অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনে ফেলি। এগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। iv) অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা থেকে দূরে থাকো। এখানে, অপ্রয়োজনীয় জিনিস বলতে বোঝানো হয়েছে যে জিনিসগুলো কেবল আমরা চোখের দেখার ভালোলাগার ওপর ভিত্তি করে কিনি। প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে নয়৷ এরকমটা সাধারণত হয় সুপারশপগুলোতে গেলে। ওখানকার শেলফগুলোতে কিছু জিনিস ইচ্ছাকৃতভাবেই চোখে পড়ার মতো করে রাখা হয় যাতে সেটা ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এ ধরণের পরিস্থিতি এড়াতে নিজেকে দুটো প্রশ্ন করতে পারো- ১) এই পণ্যটির মূল্য তোমার Disposable income এর কত শতাংশ? ২) এই পণ্যটি আগামী এক মাসে তুমি ঠিক কতবার ব্যবহার করবে? আর এই দুটো প্রশ্নের উত্তরের ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নাও পণ্যটি তোমার কেনা উচিত নাকি না? v) লিস্ট নিয়ে বাজারে যাও - শপিংয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় আগে থেকে একটা লিস্ট করে নাও ঠিক কী কী কেনা প্রয়োজন সেগুলোর। তা না হলেই বাড়তি খরচটা হবে। একটা লিস্ট নিয়ে শপিংয়ে যাও আর লিস্ট ধরে ধরেই সব কেনো। তাহলেই দেখবে উল্টোপাল্টা জিনিস কেনার ঝোঁকটা কমে যাবে। ওপরের ৫ টা ট্রিক ট্রাই করে দেখতে পারো। আশা করছি তাহলে আর মাসশেষে কপাল চাপড়াতে হবে না।